ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে তীব্র জনবল সংকট,ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা বীরমুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: বিদ্যুৎহীন মৌলভীবাজারসহ সিলেট বিভাগ জমি নিয়ে হয়রানির ক্ষোভে চাচাতো ভাইকে হত্য কুলাউড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে গ্রেফতার – ৩ প্রচন্ড তাপমাত্রায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে ফ্রি শরবত বিতরণ লাখাইয়ে অজ্ঞাত রোগী হাসপাতালে ভর্তি,বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে পথ সভা মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে প্রধান বিচারপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা

মৌলভীবাজার বিশেষ প্রণোদনা ঋণ বিতরণে অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ৬৭৫ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার কর্মসংস্থান ব্যাংকে করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা (ভর্তুকি) ঋণ বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতায় প্রকৃত ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরকারের এই মহতি উদ্যোগ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখিন জেলার শতশত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আবার কেউ কেউ তাদের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে দাদন ব্যবসায়ীদের দারস্থ হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।

এদিকে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় এ যাবত ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ঋণ খেলাপির তালিকায়। প্রকৃত গ্রাহকদের ঋণ না দেয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জেলার সচেতন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।

কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার আওতায় ১২ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির তালিকায়। গুঞ্জণ রয়েছে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যক্তিগত সুবিধা পেয়ে বিগত দিনে ব্যবসায়ী নয় এমন ব্যক্তিদের ঋণ দিয়েছেন। আবার অনেকে রাজনীতিক প্রভাবকাটিয়ে ভর্তুকি ঋণ নিয়েছেন। যার ফলে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঋণ খেলাপি গ্রাহক। এদিকে প্রতিবেদক তথ্য অধিকার আইনে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা ঋণ সুবিধাভোগী গ্রাহকদের তথ্য এবং ঋণ খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা চাইলে দেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সুভাশ চন্দ্র বলেন, ঋণের জন্য প্রথমে একবার আবেদন করলে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে আবার কর্মসংস্থান ব্যাংকে গিয়ে আবেদন জমা দেই। কয়েক বার ফোন দেই প্রজেক্ট পরিদর্শনের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ এসে দেখেনি।

কুলাউড়া উপজেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আলিম উদ্দিন হালিম বলেন, ঋণের জন্য একাধিকবার অফিসে গেলেও আমার ভাগ্যে ঋণ ঝুটেনি।

কমলগঞ্জ উপজেলার বিন্দাবনপুর গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাশ বলেন, ঋণ পেতে কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার কার্যালয়ে আবেদন করলে ৬ মাসের মধ্যেও প্রজেক্ট দেখতে যায়নি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে ৩দিনের মাথায় প্রজেক্ট পরিদর্শনে গেলেও ঋণ ভাগ্যে ঝুটেনি।

এবিষয়ে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ঋণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আবেদন করলে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের যাচাইবাছাই করে ঋণ দেয়া হয়। ঋণ খেলাপি গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসে আসলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার বিশেষ প্রণোদনা ঋণ বিতরণে অনিয়ম

আপডেট সময় ০৪:০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার কর্মসংস্থান ব্যাংকে করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা (ভর্তুকি) ঋণ বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতায় প্রকৃত ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরকারের এই মহতি উদ্যোগ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখিন জেলার শতশত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আবার কেউ কেউ তাদের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে দাদন ব্যবসায়ীদের দারস্থ হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।

এদিকে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় এ যাবত ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ঋণ খেলাপির তালিকায়। প্রকৃত গ্রাহকদের ঋণ না দেয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জেলার সচেতন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।

কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার আওতায় ১২ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ৬’শ ৯৯ গ্রাহক ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির তালিকায়। গুঞ্জণ রয়েছে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যক্তিগত সুবিধা পেয়ে বিগত দিনে ব্যবসায়ী নয় এমন ব্যক্তিদের ঋণ দিয়েছেন। আবার অনেকে রাজনীতিক প্রভাবকাটিয়ে ভর্তুকি ঋণ নিয়েছেন। যার ফলে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঋণ খেলাপি গ্রাহক। এদিকে প্রতিবেদক তথ্য অধিকার আইনে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা ঋণ সুবিধাভোগী গ্রাহকদের তথ্য এবং ঋণ খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা চাইলে দেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সুভাশ চন্দ্র বলেন, ঋণের জন্য প্রথমে একবার আবেদন করলে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে আবার কর্মসংস্থান ব্যাংকে গিয়ে আবেদন জমা দেই। কয়েক বার ফোন দেই প্রজেক্ট পরিদর্শনের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ এসে দেখেনি।

কুলাউড়া উপজেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আলিম উদ্দিন হালিম বলেন, ঋণের জন্য একাধিকবার অফিসে গেলেও আমার ভাগ্যে ঋণ ঝুটেনি।

কমলগঞ্জ উপজেলার বিন্দাবনপুর গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাশ বলেন, ঋণ পেতে কর্মসংস্থান ব্যাংক মৌলভীবাজার কার্যালয়ে আবেদন করলে ৬ মাসের মধ্যেও প্রজেক্ট দেখতে যায়নি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে ৩দিনের মাথায় প্রজেক্ট পরিদর্শনে গেলেও ঋণ ভাগ্যে ঝুটেনি।

এবিষয়ে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ঋণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আবেদন করলে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের যাচাইবাছাই করে ঋণ দেয়া হয়। ঋণ খেলাপি গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসে আসলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।