ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে পুনাক বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন ও সেলাই মেশিন বিতরণ উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা দাবি শেরপুর উন্নয়ন পরিষদ ৫০ হাজার বৃক্ষচারা রোপণ কর্মসূচী জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্নরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে…মৌলভীবাজারে আইজিপি অভিজ্ঞতা বিনিময়ে জুড়ীর মৎস্যচাষীরা কুর্শি হ্যাচারী সফরে রাত পোহালেই বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার নির্বাচন কুলাউড়ায় ট্রাক্টর থেকে পড়ে চা-শ্রমিকের মৃ-ত্যু মৌলভীবাজারে মসজিদের ইমামকে চাকরি ছড়তে মারধর ও থানায় অভিযোগ কুলাউড়ায় সিসিমপুর শিক্ষা মেলা শুরু

আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিএনপির কার্যালয় বানালেন নৌকার অফিস!

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৩৮ বার পড়া হয়েছে

পূর্বের রাজাপুর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়, যা পরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে (নিচে)। ইনসেটে এম শাহজাহান ওমর।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির ২০ বছরের পুরনো প্রধান কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনী অফিস। সেখানে আওয়ামী লীগ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় লেখা একটি সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহিম হোসেন ও বর্তমান রাজাপুর শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রমজান মৃধা এই সাইনবোর্ডটি টানান।

জানা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি সেখান থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৪ সালের নির্বাচিত হলে তাকে প্রথমে আইন ও পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রীও করা হয়। রাজাপুর বাইপাস মোড় সড়কের পাশে তার ক্রয়কৃত জমিতে দুইতলা বিশিষ্ট একটি ভবনে ২০০৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির স্থায়ী প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গত ৩০ নভেম্বর ঐ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন দুপুরে রাজাপুর কাঠালিয়া উপজেলা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে নাটকীয়ভাবে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে অনলাইনে নৌকার মনোনয়ন জমা দিলেই শুরু হয় গুঞ্জন। যেন কোনো হিসেব মিলছে না।

এরপর সন্ধ্যায় রাজাপুর উপজেলা বাইপাস মোড়ের শাহজাহান ওমরের মালিকানাধীন ভবন থেকে বিএনপির সকল সাইনবোর্ড ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য বললে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। আর মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর সেখানে নৌকার নির্বাচনী সাইনবোর্ড উঠানো হয়।

এদিকে ২০ বছরের বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস করায় উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এক সময়ে যে নেতার কারণে গর্বে বুক ভরে যেত, আজ সেই নেতাকেই বেইমান, মীরজাফর, খড়কুটাসহ বিভিন্ন উপাধি দিচ্ছেন বিএনপির কর্মীরা।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা ভবনটি শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত জায়গার উপরে তার নিজের অর্থে নির্মাণ করা। এতদিন তিনি বিএনপিতে ছিলেন তাই বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এখন সে আওয়ামী লীগে গেছেন, তাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, তিনি যখন ঝালকাঠিতে আসছেন তখন আমাকে বলছেন তার ওই অফিস রাজাপুর আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলছি রাজাপুরে আওয়ামী লীগের অফিস আছে। আপনি নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘ ২০ বছর ওই ভবনটি বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে হিসেবে ছিলো এখন থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় হিসেবে চলবে।

সেক্ষেত্রে আপনারা ওই অফিসে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম চালাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওখানে যাব কি যাবো না সেটা পরে দেখা যাবে। এ বিষয়ে জানতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিএনপির কার্যালয় বানালেন নৌকার অফিস!

আপডেট সময় ১১:০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

পূর্বের রাজাপুর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়, যা পরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে (নিচে)। ইনসেটে এম শাহজাহান ওমর।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির ২০ বছরের পুরনো প্রধান কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনী অফিস। সেখানে আওয়ামী লীগ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় লেখা একটি সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহিম হোসেন ও বর্তমান রাজাপুর শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রমজান মৃধা এই সাইনবোর্ডটি টানান।

জানা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি সেখান থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৪ সালের নির্বাচিত হলে তাকে প্রথমে আইন ও পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রীও করা হয়। রাজাপুর বাইপাস মোড় সড়কের পাশে তার ক্রয়কৃত জমিতে দুইতলা বিশিষ্ট একটি ভবনে ২০০৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির স্থায়ী প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গত ৩০ নভেম্বর ঐ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন দুপুরে রাজাপুর কাঠালিয়া উপজেলা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে নাটকীয়ভাবে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে অনলাইনে নৌকার মনোনয়ন জমা দিলেই শুরু হয় গুঞ্জন। যেন কোনো হিসেব মিলছে না।

এরপর সন্ধ্যায় রাজাপুর উপজেলা বাইপাস মোড়ের শাহজাহান ওমরের মালিকানাধীন ভবন থেকে বিএনপির সকল সাইনবোর্ড ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য বললে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। আর মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর সেখানে নৌকার নির্বাচনী সাইনবোর্ড উঠানো হয়।

এদিকে ২০ বছরের বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস করায় উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এক সময়ে যে নেতার কারণে গর্বে বুক ভরে যেত, আজ সেই নেতাকেই বেইমান, মীরজাফর, খড়কুটাসহ বিভিন্ন উপাধি দিচ্ছেন বিএনপির কর্মীরা।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা ভবনটি শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত জায়গার উপরে তার নিজের অর্থে নির্মাণ করা। এতদিন তিনি বিএনপিতে ছিলেন তাই বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এখন সে আওয়ামী লীগে গেছেন, তাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, তিনি যখন ঝালকাঠিতে আসছেন তখন আমাকে বলছেন তার ওই অফিস রাজাপুর আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলছি রাজাপুরে আওয়ামী লীগের অফিস আছে। আপনি নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘ ২০ বছর ওই ভবনটি বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে হিসেবে ছিলো এখন থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় হিসেবে চলবে।

সেক্ষেত্রে আপনারা ওই অফিসে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম চালাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওখানে যাব কি যাবো না সেটা পরে দেখা যাবে। এ বিষয়ে জানতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।