ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলোয়-আলো’র শিশুকাননের শিক্ষা পদ্ধতি শিশুদের বিকাশে মতবিনিময়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
  • / ২২৬ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জেলার চা বাগান অধ্যুষিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের আয়োজনে এক মতবিনিয়ম সভার আয়োজন করা হয়।

রবিবার ২৩ জুলাই শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ গ্র্যান্ড তাজ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিয়ম সভায় বিটিএস (কর্মসূচী ও পরিকল্পনা) পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. উত্তম কুমার দাস।

মতবিনিয়ম সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সোয়েব হোসেন চৌধুরী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জ্যোতিষ রঞ্জন দাশ, কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার, আলোয় আলো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শরীফুল আলম, বিটিএস আলোয়-আলো প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. রুবাইয়াৎ ফেরদৌস, পারভেজ কৈরী ( প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বি,টি,এস লিডার প্রজেক্ট, শ্রীমঙ্গল ) ও এমসিডার প্রধান নির্বাহী মো: তহিরুল ইসলাম মিলন প্রমূখ।

দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। সেই সাথে বাগান এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধে কাজ করছে সংস্থাটি।

উক্ত মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের ‘আলোয়-আলো প্রকল্পের আওতাধীন শিশুকানন গুলোতে শিশুদের খেলাধুলা, ছড়া, গান ও গল্পের মাধ্যমে যেভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেটি শিশুদের বিকাশের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি।’ তিনি আরো জানান সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুরাই আমাদের আওতাভুক্ত। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সকল শিশুর জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অচিরেই আলোয়-আলো প্রকল্পে কর্মরত ইসিডি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আমরা সম্প্রতি কিছু নতুন পলিসি নিয়ে কাজ করছি যাতে এসব শিশুরা উপকৃত হতে পারে। সরকার ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে চা বাগানের প্রান্তিক শিশু সহ সকল শিশুদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা হবে।

উল্লেখ্য মৌলভীবাজার জেলায় ৯২ টি চা- বাগান রয়েছে এর মধ্যে ৪২ টি চা- বাগান নিয়ে কাজ করছে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের আলোয়-আলো প্রকল্প।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আলোয়-আলো’র শিশুকাননের শিক্ষা পদ্ধতি শিশুদের বিকাশে মতবিনিময়

আপডেট সময় ১২:১৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জেলার চা বাগান অধ্যুষিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের আয়োজনে এক মতবিনিয়ম সভার আয়োজন করা হয়।

রবিবার ২৩ জুলাই শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ গ্র্যান্ড তাজ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিয়ম সভায় বিটিএস (কর্মসূচী ও পরিকল্পনা) পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. উত্তম কুমার দাস।

মতবিনিয়ম সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সোয়েব হোসেন চৌধুরী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জ্যোতিষ রঞ্জন দাশ, কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার, আলোয় আলো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শরীফুল আলম, বিটিএস আলোয়-আলো প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. রুবাইয়াৎ ফেরদৌস, পারভেজ কৈরী ( প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বি,টি,এস লিডার প্রজেক্ট, শ্রীমঙ্গল ) ও এমসিডার প্রধান নির্বাহী মো: তহিরুল ইসলাম মিলন প্রমূখ।

দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। সেই সাথে বাগান এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধে কাজ করছে সংস্থাটি।

উক্ত মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের ‘আলোয়-আলো প্রকল্পের আওতাধীন শিশুকানন গুলোতে শিশুদের খেলাধুলা, ছড়া, গান ও গল্পের মাধ্যমে যেভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেটি শিশুদের বিকাশের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি।’ তিনি আরো জানান সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুরাই আমাদের আওতাভুক্ত। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সকল শিশুর জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অচিরেই আলোয়-আলো প্রকল্পে কর্মরত ইসিডি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আমরা সম্প্রতি কিছু নতুন পলিসি নিয়ে কাজ করছি যাতে এসব শিশুরা উপকৃত হতে পারে। সরকার ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে চা বাগানের প্রান্তিক শিশু সহ সকল শিশুদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা হবে।

উল্লেখ্য মৌলভীবাজার জেলায় ৯২ টি চা- বাগান রয়েছে এর মধ্যে ৪২ টি চা- বাগান নিয়ে কাজ করছে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের আলোয়-আলো প্রকল্প।