ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগ পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে বললেন ডিপজল চেস্টার সিটির ডেপুটি মেয়র হলেন বিশ্বনাথের শিরিন চিরকুট লিখে কলেজছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা লাখাইয়ে ফুলজাহান হত্যা মামলার আসামী সহ গ্রেপ্তার ৩ লাখাইয়ে রুপা দাশের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবীতে মানববন্ধন পুলিশের ভাবমূর্তি যাতে কোনভাবে ক্ষুন্ন না হয় সেদিক বিবেচনা করে দায়িত্ব পালন করতে হবে..পুলিশ সুপার বড়লেখায় ইয়াবাসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি মারা গেছেন

এসময় সাইফুর রহমান থাকলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন:মির্জা ফখরুল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩১৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: ভারত সফরে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দিয়ে এসেছেন, কিছুই আনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) ভারত সফর নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা এত তিক্ত, হতাশ হওয়ার মতো। প্রত্যেকবার দেখেছি অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে, নিরাশার সঙ্গে; প্রধানমন্ত্রী ভারতকে দিয়ে এসেছেন কিন্তু নিয়ে আসেননি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রত্যেকবার আশা করেছি যে এবার হয়তো প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসবেন। দেখেছি তিনি প্রতিবার দিয়ে আসেন কিছু আনেন না। সুতরাং আগে আসুক ঘুরে কি আনেন দেখি তারপর মন্তব্য করব।মির্জা ফখরুল বলেন, ৭৫ সালে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছিল তার পূর্বে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। যারা (আওয়ামী লীগ) সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাস করত না তারা বললেন আমরা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করব। তারপরে যেটা হলো সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কোনো কাঠামোই তৈরি হলো না। যেটা তৈরি হলো সেটা হলো লুটপাটের অর্থনীতি। ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ছিল সম্পূর্ণ লুটপাটের অর্থনীতি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো একই অবস্থা চলছে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে। রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, সেতু নির্মাণ হচ্ছে; যে সেতুটা এক বছরে নির্মাণ করা সম্ভব সেটা করছে ১০-১৫ বছরে। ঢাকা থেকে টঙ্গীর যে রাস্তা সেটা আজ ১০ বছর ধরে হচ্ছে।

সাইফুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সাইফুর রহমান পড়াশোনা করেছিলেন হিসাববিজ্ঞানের ওপর। সে কারণেই কোনটা করলে লাভ হবে আর কোনটা করলে লাভ হবে না, আর কোনটা করলে ঋণগ্রস্ত হবো আর কোনটা করলে অনেক বেশি লাভবান হব সেটা তিনি খুব ভালো করে জানতেন। সেই কারণে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যে কাজটা দেশের জন্য ভালো মনে করতেন তিনি সেটাই করতেন। আর সেই কাজটা করার জন্য যা যা করা দরকার ছিল তিনি তাই করতেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আজকে অত্যন্ত কঠিন একটি সময় অতিক্রম করছি। এ সময় সাইফুর রহমান থাকলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন। এই সরকারের যে মূল চেহারা সেটাকেও উন্মোচনে তিনি সক্ষম হতেন।রিজার্ভ-জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ অন্যান্য সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, যে কাজটা দশ হাজার টাকায় হবে সেটা তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করছে। বাকি চল্লিশ হাজার টাকা তারা (সরকার) নিজেরা ভাগ করে চুরি করে খাচ্ছে।

স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লা আমান, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এড.আবেদ রাজা প্রমূখ।সভাপতির বক্তব্যে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশ ও জাতির অধঃপতন হয়েছে; এই লুটেরা সরকার থেকে, ভোট ডাকাত সরকার থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, দেশের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকারকে হঠাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।তিনি আরো বলেন, ‘সাইফুর রহমান একজন দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন, শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতা রয়েছে তারা ইভিএম এর মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতাদের লুট করা, লুট করে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা, ধনী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সাইফুর রহমান ইচ্ছে করলে এই সুযোগ করে দিতে পারতেন, কিন্তু একটি লোকেরও এই সুযোগ করে দেননি।

কেন দেননি, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে।তিনি বলেন, ‘যারা আজকে অর্থনীতিকে লুটপাট করে দেউলিয়া করে ফেলেছে, সাইফুর রহমান বেঁচে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতেন। আলোচনা সভার শুরুতে মরহুম এম.সাইফুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এসময় সাইফুর রহমান থাকলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন:মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:১৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি: ভারত সফরে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দিয়ে এসেছেন, কিছুই আনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) ভারত সফর নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা এত তিক্ত, হতাশ হওয়ার মতো। প্রত্যেকবার দেখেছি অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে, নিরাশার সঙ্গে; প্রধানমন্ত্রী ভারতকে দিয়ে এসেছেন কিন্তু নিয়ে আসেননি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রত্যেকবার আশা করেছি যে এবার হয়তো প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসবেন। দেখেছি তিনি প্রতিবার দিয়ে আসেন কিছু আনেন না। সুতরাং আগে আসুক ঘুরে কি আনেন দেখি তারপর মন্তব্য করব।মির্জা ফখরুল বলেন, ৭৫ সালে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছিল তার পূর্বে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। যারা (আওয়ামী লীগ) সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাস করত না তারা বললেন আমরা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করব। তারপরে যেটা হলো সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কোনো কাঠামোই তৈরি হলো না। যেটা তৈরি হলো সেটা হলো লুটপাটের অর্থনীতি। ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ছিল সম্পূর্ণ লুটপাটের অর্থনীতি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো একই অবস্থা চলছে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে। রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, সেতু নির্মাণ হচ্ছে; যে সেতুটা এক বছরে নির্মাণ করা সম্ভব সেটা করছে ১০-১৫ বছরে। ঢাকা থেকে টঙ্গীর যে রাস্তা সেটা আজ ১০ বছর ধরে হচ্ছে।

সাইফুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সাইফুর রহমান পড়াশোনা করেছিলেন হিসাববিজ্ঞানের ওপর। সে কারণেই কোনটা করলে লাভ হবে আর কোনটা করলে লাভ হবে না, আর কোনটা করলে ঋণগ্রস্ত হবো আর কোনটা করলে অনেক বেশি লাভবান হব সেটা তিনি খুব ভালো করে জানতেন। সেই কারণে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যে কাজটা দেশের জন্য ভালো মনে করতেন তিনি সেটাই করতেন। আর সেই কাজটা করার জন্য যা যা করা দরকার ছিল তিনি তাই করতেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আজকে অত্যন্ত কঠিন একটি সময় অতিক্রম করছি। এ সময় সাইফুর রহমান থাকলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন। এই সরকারের যে মূল চেহারা সেটাকেও উন্মোচনে তিনি সক্ষম হতেন।রিজার্ভ-জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ অন্যান্য সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, যে কাজটা দশ হাজার টাকায় হবে সেটা তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করছে। বাকি চল্লিশ হাজার টাকা তারা (সরকার) নিজেরা ভাগ করে চুরি করে খাচ্ছে।

স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লা আমান, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এড.আবেদ রাজা প্রমূখ।সভাপতির বক্তব্যে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশ ও জাতির অধঃপতন হয়েছে; এই লুটেরা সরকার থেকে, ভোট ডাকাত সরকার থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, দেশের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকারকে হঠাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।তিনি আরো বলেন, ‘সাইফুর রহমান একজন দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন, শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতা রয়েছে তারা ইভিএম এর মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতাদের লুট করা, লুট করে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা, ধনী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সাইফুর রহমান ইচ্ছে করলে এই সুযোগ করে দিতে পারতেন, কিন্তু একটি লোকেরও এই সুযোগ করে দেননি।

কেন দেননি, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে।তিনি বলেন, ‘যারা আজকে অর্থনীতিকে লুটপাট করে দেউলিয়া করে ফেলেছে, সাইফুর রহমান বেঁচে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতেন। আলোচনা সভার শুরুতে মরহুম এম.সাইফুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।