ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গলে হামলা ও বাড়ির প্রাচীর ভাঙার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দ্বিতীয় ধাপে রাজনগর উপজেলায় ভোট গ্রহন শুরু নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগ পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে বললেন ডিপজল চেস্টার সিটির ডেপুটি মেয়র হলেন বিশ্বনাথের শিরিন চিরকুট লিখে কলেজছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা লাখাইয়ে ফুলজাহান হত্যা মামলার আসামী সহ গ্রেপ্তার ৩ লাখাইয়ে রুপা দাশের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবীতে মানববন্ধন পুলিশের ভাবমূর্তি যাতে কোনভাবে ক্ষুন্ন না হয় সেদিক বিবেচনা করে দায়িত্ব পালন করতে হবে..পুলিশ সুপার

ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক প্রতারণা মামলায় মৌলভীবাজার জেল হাজতে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭২৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রতারণা মামলায় ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এম আমান উল্লাহকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হোসেন তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠানো হয়।

কোর্ট পরিদর্শক আলী হোসেন এবং মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এম আমান উল্লাহ হলেন আমান গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান। এছাড়া শেয়ার একচেঞ্জ কোম্পানি এরিনা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ডেটন হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক।

মামলার বাদীরা হলেন মৌলভীবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. এম এ আহাদ, তাঁর স্ত্রী ডা. দিলশাদ পারভিন ও তাঁদের মেয়ে আয়েশা তাসনিম ইশিতা।

ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডসহ মামলার আসামী ১৩ জন। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী বাদীগণ ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড বিভিন্ন সময়ে শেয়ার কেনেন। তাঁদের শেয়ারের বাজার মূল্য ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

শেয়ার হোল্ডাররা ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর শেয়ারগুলো হস্তান্তর করতে চাইলে আসামীরা শেয়ার হস্তান্তর করেন নি। এ ব্যাপারে বাদীগুণ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে অভিযোগ দেন। অনুসন্ধানপূর্বক আসামীদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় বিবাদীগণ প্রতারণা করে বাদীগণের শেয়ার বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার ধারা- ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৬/১০৯/৩৪ the penal code 1860; একই উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে বিশ্বাস ভঙ্গ করে জাল জালিয়াতি  করতঃ টাকা আত্মসাৎ ও হুমকি প্রদর্শনের অপরাধ।

মামলার বিবাদীরা হলেন- ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবু তাহের মো. সুয়েব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝুনু চৌধুরী, এক্সিকিউভ ডিরেক্টর মুহিতুল বারী চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনসুরুজ্জামান, এম আমানুল্লাহ, রুমেল মোহাম্মদ সাইফুল রহমান পীর, তরিকুল ইসলাম রহিমী, আ.ফ.ম আনোয়ারুল আম্বিয়া চৌধুরী, আব্দুল রাকিব শিকদার, মো. মিজানুর রহমান, শেয়ার হোল্ডার মো. সিরাজুল হক এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও শেয়ার হোল্ডার মো. আনোয়ার হোসেন। মামলায় বাদীপক্ষের আমমোক্তার মো. আতাউর রহমান।

জানা গেছে, মৌলভীবাজারের প্রায় শতাধিক মানুষের আনুমানিক ১২ কোটি টাকা উল্লেখিত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজে টাকা বিনিয়োগ করে পথে বসেছেন এসব মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষজন।

মামলার বাদীপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শামীম জানান, মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। তিনি বলেন, মামলাটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আশা করছি বাদীগণ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক প্রতারণা মামলায় মৌলভীবাজার জেল হাজতে

আপডেট সময় ০৯:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রতারণা মামলায় ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক এম আমান উল্লাহকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হোসেন তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠানো হয়।

কোর্ট পরিদর্শক আলী হোসেন এবং মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এম আমান উল্লাহ হলেন আমান গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান। এছাড়া শেয়ার একচেঞ্জ কোম্পানি এরিনা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ডেটন হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক।

মামলার বাদীরা হলেন মৌলভীবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. এম এ আহাদ, তাঁর স্ত্রী ডা. দিলশাদ পারভিন ও তাঁদের মেয়ে আয়েশা তাসনিম ইশিতা।

ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডসহ মামলার আসামী ১৩ জন। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী বাদীগণ ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড বিভিন্ন সময়ে শেয়ার কেনেন। তাঁদের শেয়ারের বাজার মূল্য ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

শেয়ার হোল্ডাররা ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর শেয়ারগুলো হস্তান্তর করতে চাইলে আসামীরা শেয়ার হস্তান্তর করেন নি। এ ব্যাপারে বাদীগুণ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে অভিযোগ দেন। অনুসন্ধানপূর্বক আসামীদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় বিবাদীগণ প্রতারণা করে বাদীগণের শেয়ার বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার ধারা- ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৬/১০৯/৩৪ the penal code 1860; একই উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে বিশ্বাস ভঙ্গ করে জাল জালিয়াতি  করতঃ টাকা আত্মসাৎ ও হুমকি প্রদর্শনের অপরাধ।

মামলার বিবাদীরা হলেন- ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবু তাহের মো. সুয়েব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝুনু চৌধুরী, এক্সিকিউভ ডিরেক্টর মুহিতুল বারী চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনসুরুজ্জামান, এম আমানুল্লাহ, রুমেল মোহাম্মদ সাইফুল রহমান পীর, তরিকুল ইসলাম রহিমী, আ.ফ.ম আনোয়ারুল আম্বিয়া চৌধুরী, আব্দুল রাকিব শিকদার, মো. মিজানুর রহমান, শেয়ার হোল্ডার মো. সিরাজুল হক এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও শেয়ার হোল্ডার মো. আনোয়ার হোসেন। মামলায় বাদীপক্ষের আমমোক্তার মো. আতাউর রহমান।

জানা গেছে, মৌলভীবাজারের প্রায় শতাধিক মানুষের আনুমানিক ১২ কোটি টাকা উল্লেখিত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজে টাকা বিনিয়োগ করে পথে বসেছেন এসব মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষজন।

মামলার বাদীপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শামীম জানান, মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। তিনি বলেন, মামলাটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আশা করছি বাদীগণ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন