ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

মুষলধারে ধারে বৃষ্টি নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ৫১৮ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্টঃ  টানা ৫ দিনের বৃষ্টিতে জন জীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। গত কাল থেকে ২৪ ঘন্টা ধরে টানা মশাল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে অব্যাহত আছে উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢল। এতে নদ-নদী গুলোতে বাড়ছে পানি। নদী উপচে হাওরেও ঢুকছে পানি।
প্লাবিত হচ্ছে সিলেটে-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল।
এ অবস্থায়ও সিলেটে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টিসহ অস্থায়ী ভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে  রোববার (১৮ জুন) থেকে সন্ধ্যা ৬টায় পানি ৯ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (১৯ জুন) বেলা ৩টায় সিলেট পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরেই প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার বেলা ৩টায় ওই পয়েন্টে ১৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আগের দিন একই সময় ১২ দশমিক ৬৭  সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হয়। কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। সোমবার সকাল ৯টায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। রোববার ওই পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, সেখানে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ১১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সকাল ৯টায় সেটি ছিল ১১ দশমিক ২৫  সেন্টিমিটার।
লুভা নদীর লুভাছড়া পয়েন্টে রোববার ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।  সোমবার সকাল ৯টায় সেখানে পানি কিছুটা কমে ১৩ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
এদিকে, সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৮ দশমিক ১১। সোমবার সেখানে ৮ দশমিক ৮৫ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মুষলধারে ধারে বৃষ্টি নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে

আপডেট সময় ০৮:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
ডেস্ক রিপোর্টঃ  টানা ৫ দিনের বৃষ্টিতে জন জীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। গত কাল থেকে ২৪ ঘন্টা ধরে টানা মশাল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে অব্যাহত আছে উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢল। এতে নদ-নদী গুলোতে বাড়ছে পানি। নদী উপচে হাওরেও ঢুকছে পানি।
প্লাবিত হচ্ছে সিলেটে-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল।
এ অবস্থায়ও সিলেটে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টিসহ অস্থায়ী ভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে  রোববার (১৮ জুন) থেকে সন্ধ্যা ৬টায় পানি ৯ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (১৯ জুন) বেলা ৩টায় সিলেট পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরেই প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার বেলা ৩টায় ওই পয়েন্টে ১৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আগের দিন একই সময় ১২ দশমিক ৬৭  সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হয়। কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। সোমবার সকাল ৯টায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। রোববার ওই পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, সেখানে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ১১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সকাল ৯টায় সেটি ছিল ১১ দশমিক ২৫  সেন্টিমিটার।
লুভা নদীর লুভাছড়া পয়েন্টে রোববার ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।  সোমবার সকাল ৯টায় সেখানে পানি কিছুটা কমে ১৩ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
এদিকে, সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৮ দশমিক ১১। সোমবার সেখানে ৮ দশমিক ৮৫ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।