ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের মুক্তির জন্যই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা:প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের যেকোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাকে ভুমিকা পালন করে ছাত্রলীগ, মানুষের মুক্তির জন্যই এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা। ছাত্রলীগ কখনোই পিছপা হয়নি। ১-১১ এর সময়ও আপোস করেনি। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, তা-ও তারা এগিয়ে এসেছিল।’ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এদিকে ছাত্রলীগ মানুষে বিপদে পাশে দাঁড়ায়। আমি বলেছি, কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে, সবাই চলে গেছে মাঠে। গিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে।’

 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা যদি পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কথা চিন্তা করি, যারা হত্যা করেছে তারা জাতিকে কী দিয়েছে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে চেয়েছে, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছে। পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করেছিল খুনি মোশতাক-জিয়া ক্ষমতায় আসার পর। আজকে যেকেউ হত্যার শিকার হলে বিচার চায়, আমার প্রশ্ন সেই ১৫ আগস্ট হত্যার পর আমাদের কি বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনি শুধু স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, সারাজীবন মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল বাঙালির মুক্তির জন্য।’

 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখনও ছাত্রলীগই এগিয়ে এসেছিল। এই তারুণ্যের শক্তিই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। আমিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সদস্য ছিলাম। ক্যাবিনেটের সবাই কিন্তু ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা। যেকোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাকে ভুমিকা পালন করে। ১-১১ এর সময়ও আপোস করেনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মানুষের মুক্তির জন্যই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা:প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০২:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের যেকোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাকে ভুমিকা পালন করে ছাত্রলীগ, মানুষের মুক্তির জন্যই এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা। ছাত্রলীগ কখনোই পিছপা হয়নি। ১-১১ এর সময়ও আপোস করেনি। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, তা-ও তারা এগিয়ে এসেছিল।’ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এদিকে ছাত্রলীগ মানুষে বিপদে পাশে দাঁড়ায়। আমি বলেছি, কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে, সবাই চলে গেছে মাঠে। গিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে।’

 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা যদি পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কথা চিন্তা করি, যারা হত্যা করেছে তারা জাতিকে কী দিয়েছে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে চেয়েছে, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছে। পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করেছিল খুনি মোশতাক-জিয়া ক্ষমতায় আসার পর। আজকে যেকেউ হত্যার শিকার হলে বিচার চায়, আমার প্রশ্ন সেই ১৫ আগস্ট হত্যার পর আমাদের কি বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনি শুধু স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, সারাজীবন মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল বাঙালির মুক্তির জন্য।’

 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখনও ছাত্রলীগই এগিয়ে এসেছিল। এই তারুণ্যের শক্তিই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। আমিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সদস্য ছিলাম। ক্যাবিনেটের সবাই কিন্তু ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা। যেকোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাকে ভুমিকা পালন করে। ১-১১ এর সময়ও আপোস করেনি।