ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলা চলাবস্থায় বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১২৮০ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা চলাবস্থায় পৈত্রিক বাড়ী হাইতে উচ্ছেদ করার
জন্য সন্ত্রাসী হামলা করে বসত ঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে জানাল জামিল মিয়া।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

আমি জামিল মিয়া ( পিতা মৃত হানিফ উল্লা, গ্রাম ছয়কুট, থানা কমলগঞ্জ,
জেলা মৌলভীবাজার) আমাদের আপন চাচা লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লা সাথে দির্ঘ দিন
থেকে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা বিদ্যমান আছে। ইতি পূর্বে আমার চাচা মানিক উল্লা তাহার ভাগীনা হাবিবুর রহমান নুহেল দ্বারা আমাদের উপর চাদাবাজি মামলা ও আরো মিত্যা মামলা মুকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করিতেছেন। বর্ণিত আমার চাচা মানিক উল্লা আমাদের পৈত্রিক বাড়ী হইতে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনি ও কমলগঞ্জ থানা পুলিশ দিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসিতেছেন।

দেওয়ানী মামলা চলাবস্থায় পুলিশ কর্তৃক হয়রানী বন্ধের জন্য ও আমাদের নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার বরাবরে ২০ জুন ২০২৩ ইং তারিখে অভিযোগ করেছি কিন্তু দুঃখের বিষয়
এই অভিযোগ কোন প্রকার প্রতিকার এখনও পাই নাই। বিগত ১৪/০৭/২০২৩ইং তারিখে, রোজ শুক্রবার, রাত অনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় আমার চাচা মানিক উল্লার
ভাড়া করা সন্ত্রাসী১৫/২০ জনকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে দেশী অস্ত্র (রাম দাঁ, ডেগার) ও আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে, প্রথমে আমার ঘরের বিদুৎ মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

আমি আমার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে
হতবিম্বল হইয়া চিৎকার দিলে সন্ত্রাসীরা আমাদের আক্রমন করে। সন্ত্রাসী বদরুল হাতে থাকা কাঠের রুল দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাবীর মাতা বরাবর আঘাত করে এবং কিল,ঘোষি,থাপ্পড় মেরে মধ্যযোগীয় কায়দায় রক্তাক্ত করা হয়।  আমার অসুস্থ মাকে
লাথি ও থাপ্পর মারে এখন উনি হাটতেও পারছেন না। আমার ভাতিজা ভাতিজি (ছোট)তাদেরকেও ছাড়ে নি ওরা। সন্ত্রাসী আওয়াল তার হাতে থাকা ডেগার আমার গলায় ধরিয়া প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং চিৎকার করলে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে বলে। আমি ভয়ে
চিৎকার দেইনাই। আর ৮/১০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে প্রবেশ করিয়া ঘরের আসবাবপত্র ও ঘরের টিনের বেড়া রামদা দিয়ে কুপিয়ে ভাংচুর করে। ঘর ভেঙ্গেছে,শুধু তাই না আমার ভাই শামীম ভেবে বাড়ীর সামনে থাকা অপরিচিত লোখকে এমন ভাবে কুপিয়েছে যে থাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এমন নৃসংস সন্ত্রাসী হামলা কখনোই আর হয় নাই। ঘটনার বিষয়েআশেপাশের লোকজন জড় হইলে এবং ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসিতেছে খবর পাইয়া সন্ত্রাসীরা ঘর হইতে মূল্যবান জিনিসপত্র ও মোবাইল ফোন ৪টি এবং মামলার কাগজপত্র নিয়া যায়। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন আসিলে হাতে থাকা বন্ধুক দিয়ে গুলি ছুড়িয়া গাড়ীতে উটিয়া মানিক উল্লার বাড়ীতে চলে যায়।

পরবর্তিতে কমলগঞ্জ থানার ওসি ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া বরাবরের মতো গ্রামবাসীকে সড়িয়ে দিয়ে সন্ত্রাসবাহিনীকে মানিক উল্লার বাড়ী থেকে প্রস্থান করতে সহায়তা করেছে।

পুলিশের সহযোগিতায় ৪টি গাড়ী নিয়ে এমন হামলা করেও সন্ত্রাসীরা পালিয়েছে। পুলিশের এমন ভূমিকা নিয়ে আমরা ও আমাদের গ্রামবাসী অসন্তুষ্ট। বর্তমানে আমরা আমাদের মামলা নিয়ে বিচলিত। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। উপায় না পেয়ে আজ আমরা সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হচ্ছি।

আমরা আমাদের হক চাই এবং সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশের অসহযোগিতা থেকে রেহাই চাই ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মামলা চলাবস্থায় বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা

আপডেট সময় ০৯:৪২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা চলাবস্থায় পৈত্রিক বাড়ী হাইতে উচ্ছেদ করার
জন্য সন্ত্রাসী হামলা করে বসত ঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে জানাল জামিল মিয়া।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

আমি জামিল মিয়া ( পিতা মৃত হানিফ উল্লা, গ্রাম ছয়কুট, থানা কমলগঞ্জ,
জেলা মৌলভীবাজার) আমাদের আপন চাচা লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লা সাথে দির্ঘ দিন
থেকে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা বিদ্যমান আছে। ইতি পূর্বে আমার চাচা মানিক উল্লা তাহার ভাগীনা হাবিবুর রহমান নুহেল দ্বারা আমাদের উপর চাদাবাজি মামলা ও আরো মিত্যা মামলা মুকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করিতেছেন। বর্ণিত আমার চাচা মানিক উল্লা আমাদের পৈত্রিক বাড়ী হইতে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনি ও কমলগঞ্জ থানা পুলিশ দিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসিতেছেন।

দেওয়ানী মামলা চলাবস্থায় পুলিশ কর্তৃক হয়রানী বন্ধের জন্য ও আমাদের নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার বরাবরে ২০ জুন ২০২৩ ইং তারিখে অভিযোগ করেছি কিন্তু দুঃখের বিষয়
এই অভিযোগ কোন প্রকার প্রতিকার এখনও পাই নাই। বিগত ১৪/০৭/২০২৩ইং তারিখে, রোজ শুক্রবার, রাত অনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় আমার চাচা মানিক উল্লার
ভাড়া করা সন্ত্রাসী১৫/২০ জনকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে দেশী অস্ত্র (রাম দাঁ, ডেগার) ও আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে, প্রথমে আমার ঘরের বিদুৎ মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

আমি আমার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে
হতবিম্বল হইয়া চিৎকার দিলে সন্ত্রাসীরা আমাদের আক্রমন করে। সন্ত্রাসী বদরুল হাতে থাকা কাঠের রুল দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাবীর মাতা বরাবর আঘাত করে এবং কিল,ঘোষি,থাপ্পড় মেরে মধ্যযোগীয় কায়দায় রক্তাক্ত করা হয়।  আমার অসুস্থ মাকে
লাথি ও থাপ্পর মারে এখন উনি হাটতেও পারছেন না। আমার ভাতিজা ভাতিজি (ছোট)তাদেরকেও ছাড়ে নি ওরা। সন্ত্রাসী আওয়াল তার হাতে থাকা ডেগার আমার গলায় ধরিয়া প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং চিৎকার করলে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে বলে। আমি ভয়ে
চিৎকার দেইনাই। আর ৮/১০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে প্রবেশ করিয়া ঘরের আসবাবপত্র ও ঘরের টিনের বেড়া রামদা দিয়ে কুপিয়ে ভাংচুর করে। ঘর ভেঙ্গেছে,শুধু তাই না আমার ভাই শামীম ভেবে বাড়ীর সামনে থাকা অপরিচিত লোখকে এমন ভাবে কুপিয়েছে যে থাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এমন নৃসংস সন্ত্রাসী হামলা কখনোই আর হয় নাই। ঘটনার বিষয়েআশেপাশের লোকজন জড় হইলে এবং ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসিতেছে খবর পাইয়া সন্ত্রাসীরা ঘর হইতে মূল্যবান জিনিসপত্র ও মোবাইল ফোন ৪টি এবং মামলার কাগজপত্র নিয়া যায়। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন আসিলে হাতে থাকা বন্ধুক দিয়ে গুলি ছুড়িয়া গাড়ীতে উটিয়া মানিক উল্লার বাড়ীতে চলে যায়।

পরবর্তিতে কমলগঞ্জ থানার ওসি ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া বরাবরের মতো গ্রামবাসীকে সড়িয়ে দিয়ে সন্ত্রাসবাহিনীকে মানিক উল্লার বাড়ী থেকে প্রস্থান করতে সহায়তা করেছে।

পুলিশের সহযোগিতায় ৪টি গাড়ী নিয়ে এমন হামলা করেও সন্ত্রাসীরা পালিয়েছে। পুলিশের এমন ভূমিকা নিয়ে আমরা ও আমাদের গ্রামবাসী অসন্তুষ্ট। বর্তমানে আমরা আমাদের মামলা নিয়ে বিচলিত। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। উপায় না পেয়ে আজ আমরা সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হচ্ছি।

আমরা আমাদের হক চাই এবং সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশের অসহযোগিতা থেকে রেহাই চাই ।