ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে পুনাক বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন ও সেলাই মেশিন বিতরণ উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা দাবি শেরপুর উন্নয়ন পরিষদ ৫০ হাজার বৃক্ষচারা রোপণ কর্মসূচী জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্নরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে…মৌলভীবাজারে আইজিপি অভিজ্ঞতা বিনিময়ে জুড়ীর মৎস্যচাষীরা কুর্শি হ্যাচারী সফরে রাত পোহালেই বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার নির্বাচন কুলাউড়ায় ট্রাক্টর থেকে পড়ে চা-শ্রমিকের মৃ-ত্যু মৌলভীবাজারে মসজিদের ইমামকে চাকরি ছড়তে মারধর ও থানায় অভিযোগ কুলাউড়ায় সিসিমপুর শিক্ষা মেলা শুরু

মৌলভীবাজারে নানা আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ পালিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ”পুলিশ জনতা ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩’ পালিত হয়েছে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বিকেলে শহরের প্রেসক্লাব মোড় থেকে শুরু হয়ে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে এসে র‍্যালীতে জেলার বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং জেলার পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

র‍্যালী শেষে পৌর জনমিলন কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার) সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশিং যে উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলার কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ বলেন, পুলিশ এবং সমাজে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে দুরত্ব ঘুচিয়ে পুলিশের সাথে যৌথভাবে কাজ করে সমাজ থেকে বিভিন্ন অপরাধ-অনাচার দূর করাই কমিউনিটি পুলিশিং এর লক্ষ্য।

বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল উদ্দিন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অবিনাশ বিশ্বাস,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি সাইদুর রহমান রেনু প্রমুখ।

বক্তারা সমাজে কমিউনিটি পুলিশিং এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,  পুলিশ এবং সাধারণ জনগণ একসাথে কাজ করলে সমাজ থেকে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং এর মত অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একই সাথে তারা সমাজ থেকে অপরাধ ও সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে পুলিশের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

প্রধান অতিথি নেছার আহমদ তার বক্তব্যের শুরুতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে গিয়ে, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত পুলিশ সদস্যের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ”পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দুরত্ব কমিয়ে, সাধারণ জনগণ পুলিশ একসাথে কাজ করে দেশ থেকে অপরাধ ও সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধের জন্যই এই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা।অল্প সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের যে কার্যক্রম তা তথাকথিত অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে। তিনি যেকোন ন্যায়সংগত বিষয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়ে বলেন পুলিশের যেমন দায়িত্ব আছে, সাধারণ জনগণেরও দায়িত্ব আছে।সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, জনগণের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পুলিশিং ব্যবস্থাই হল কমিউনিটি পুলিশিং। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে সেতুবন্ধন সেটা দৃঢ়করণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, কিশোর অপরাধের মত সমস্যাগুলো আপনারা চাইলেই সমাধান করতে পারবেন।তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।”

আজকের অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার নির্বাচিত হন শ্রীমঙ্গল থানার এসআই(নিঃ) মোঃ রাকিবুল হাছান এবং শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য নির্বাচিত হন শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালা।

এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং এ ভূমিকা রাখায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ানকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। অতিথিগণ তাদের হাতে সম্মাননা স্বারক এবং সনদপত্র তুলে দেন।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ (ডিএসবি) মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ সারোআর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান, সাংবাদিকবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সকল থানা ও ইউনিটের অফিসার ইনচার্জগণ এবং জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে নানা আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ পালিত

আপডেট সময় ০৭:২৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ”পুলিশ জনতা ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩’ পালিত হয়েছে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বিকেলে শহরের প্রেসক্লাব মোড় থেকে শুরু হয়ে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে এসে র‍্যালীতে জেলার বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং জেলার পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

র‍্যালী শেষে পৌর জনমিলন কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার) সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশিং যে উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলার কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ বলেন, পুলিশ এবং সমাজে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে দুরত্ব ঘুচিয়ে পুলিশের সাথে যৌথভাবে কাজ করে সমাজ থেকে বিভিন্ন অপরাধ-অনাচার দূর করাই কমিউনিটি পুলিশিং এর লক্ষ্য।

বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল উদ্দিন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অবিনাশ বিশ্বাস,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি সাইদুর রহমান রেনু প্রমুখ।

বক্তারা সমাজে কমিউনিটি পুলিশিং এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,  পুলিশ এবং সাধারণ জনগণ একসাথে কাজ করলে সমাজ থেকে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং এর মত অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একই সাথে তারা সমাজ থেকে অপরাধ ও সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে পুলিশের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

প্রধান অতিথি নেছার আহমদ তার বক্তব্যের শুরুতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে গিয়ে, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত পুলিশ সদস্যের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ”পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দুরত্ব কমিয়ে, সাধারণ জনগণ পুলিশ একসাথে কাজ করে দেশ থেকে অপরাধ ও সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধের জন্যই এই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা।অল্প সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের যে কার্যক্রম তা তথাকথিত অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে। তিনি যেকোন ন্যায়সংগত বিষয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়ে বলেন পুলিশের যেমন দায়িত্ব আছে, সাধারণ জনগণেরও দায়িত্ব আছে।সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, জনগণের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পুলিশিং ব্যবস্থাই হল কমিউনিটি পুলিশিং। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে সেতুবন্ধন সেটা দৃঢ়করণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, কিশোর অপরাধের মত সমস্যাগুলো আপনারা চাইলেই সমাধান করতে পারবেন।তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।”

আজকের অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার নির্বাচিত হন শ্রীমঙ্গল থানার এসআই(নিঃ) মোঃ রাকিবুল হাছান এবং শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য নির্বাচিত হন শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালা।

এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং এ ভূমিকা রাখায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ানকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। অতিথিগণ তাদের হাতে সম্মাননা স্বারক এবং সনদপত্র তুলে দেন।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ (ডিএসবি) মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ সারোআর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান, সাংবাদিকবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সকল থানা ও ইউনিটের অফিসার ইনচার্জগণ এবং জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ।