ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

লাখাইয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে বি এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৮১ বার পড়া হয়েছে

এম এ ওয়াহেদ: লাখাই’র একমাত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।দীর্ঘদিন যাবত এ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও-দুর্নীতির বিষয়টি উঠলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।ফলশ্রুতিতে অনিয়ম-দুর্নীতির মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে এ বিদ্যালয়ের এস,এস,সি ফরম পুরনের সাথে অতিরিক্ত পাঠদানের নামে অর্থ আদায়,উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন আদায় এর মতো বিষয়।

বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায় বি এস বিদ্যালয়ের ২৬৪ জন ছাত্রী উপবৃত্তি পেয়ে থাকে। এ উপবৃত্তি প্রাপ্ত ২৬৪ জন ছাত্রীর নিকট থেকে মাসিক বেতনের অর্ধেক হারে বেতন আদায় করে চলেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ফলে যে লক্ষ্যে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে তাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় এ বিদ্যালয়ের ষষ্ট শ্রেনীর ৭৩ জন ছাত্রী উপবৃত্তির আওতায় এবং তাদের নিকট থেকে মাসিক বেতন আদায় করছে ৬৫ টাকা হারে,৭ ম শ্রেনীর ৮৪ জন উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৭০ টাকা হারে,৮ ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ৩৯ জন উপবৃত্তি আওতাভূক্ত এবং এদের কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৭৫ টাকা হারে,৯ ম ও ১০ ম শ্রেণির উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী ৬৮ জন এবং তাদের নিকট থেকে মাসিক বেতন আদায় করা হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এ বিষয়ে বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করীম এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন এর অর্ধেক হারে বেতন এর টাকা আদায় করার কথা স্বীকার করেন । উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রীদের কাছে থেকে বেতন আদায় করা জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা নেই বলে আমার শিক্ষা প্রতিষ্টানের কোন ছাত্র /ছাত্রীদের কাছ থেকে কোন প্রকার বেতন ভাতা নেই না।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল্লাহ এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপবৃত্তি প্রাপ্ত কোন ছাত্র / ছাত্রীদের কাছ থেকে কোন প্রকার বেতন নেয়ার কোন বিধান নেই। উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্টান অনিয়ম ও দূর্নীতি করে তা হলে তদন্ত করে প্রমানিত হলে ঐশিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধিমালা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে অবহিত করলে তিনি জানান, তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাখাইয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে বি এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

আপডেট সময় ০১:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

এম এ ওয়াহেদ: লাখাই’র একমাত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।দীর্ঘদিন যাবত এ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও-দুর্নীতির বিষয়টি উঠলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।ফলশ্রুতিতে অনিয়ম-দুর্নীতির মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে এ বিদ্যালয়ের এস,এস,সি ফরম পুরনের সাথে অতিরিক্ত পাঠদানের নামে অর্থ আদায়,উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন আদায় এর মতো বিষয়।

বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায় বি এস বিদ্যালয়ের ২৬৪ জন ছাত্রী উপবৃত্তি পেয়ে থাকে। এ উপবৃত্তি প্রাপ্ত ২৬৪ জন ছাত্রীর নিকট থেকে মাসিক বেতনের অর্ধেক হারে বেতন আদায় করে চলেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ফলে যে লক্ষ্যে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে তাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় এ বিদ্যালয়ের ষষ্ট শ্রেনীর ৭৩ জন ছাত্রী উপবৃত্তির আওতায় এবং তাদের নিকট থেকে মাসিক বেতন আদায় করছে ৬৫ টাকা হারে,৭ ম শ্রেনীর ৮৪ জন উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৭০ টাকা হারে,৮ ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ৩৯ জন উপবৃত্তি আওতাভূক্ত এবং এদের কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৭৫ টাকা হারে,৯ ম ও ১০ ম শ্রেণির উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী ৬৮ জন এবং তাদের নিকট থেকে মাসিক বেতন আদায় করা হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এ বিষয়ে বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করীম এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন এর অর্ধেক হারে বেতন এর টাকা আদায় করার কথা স্বীকার করেন । উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রীদের কাছে থেকে বেতন আদায় করা জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা নেই বলে আমার শিক্ষা প্রতিষ্টানের কোন ছাত্র /ছাত্রীদের কাছ থেকে কোন প্রকার বেতন ভাতা নেই না।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল্লাহ এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপবৃত্তি প্রাপ্ত কোন ছাত্র / ছাত্রীদের কাছ থেকে কোন প্রকার বেতন নেয়ার কোন বিধান নেই। উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্টান অনিয়ম ও দূর্নীতি করে তা হলে তদন্ত করে প্রমানিত হলে ঐশিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধিমালা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে অবহিত করলে তিনি জানান, তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।