ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত কোটিতে বিক্রি প্রিন্সেস ডায়নার গাড়ি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৭৭ বার পড়া হয়েছে

প্রিন্সেস ডায়নার ফোর্ড এসকর্ট গাড়ি নিলামে বিপুল দামে বিক্রি হলো। ডায়নার জন্য বিশেষভাবে গাড়িটি বানিয়েছিল ফোর্ড। প্রিন্সেস ডায়না এই গাড়ি নিজে চালাতেন। কালো রঙের ফোর্ড এসকর্ট আরএস টার্বো সিরিজ-১ গাড়িটি নিলামে সাড়ে ছয় লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশের মুদ্রায় সাত কোটি টাকারও বেশি) দামে বিক্রি হয়।

ডায়না এই গাড়ি প্রায়ই নিজে চালাতেন। কখনো কখনো তার সঙ্গে পেছনের সিটে বিশেষ আসনে প্রিন্স উইলিয়ামসও থাকতেন। ডায়নাকে এই গাড়ি নিয়ে প্রায়ই চেলসি ও কেনসিংটনে দেখা যেত। আর ডায়না গাড়ি চালালে তার দেহরক্ষীও পেছনের আসনে বসতেন।

রাজকীয় গাড়ি নয় : ব্রিটিশ রাজপরিবারে প্রিন্সেস গাড়ি চালাচ্ছেন, এমন ঘটনা বিরল। কিন্তু এই সাহসী সিদ্ধান্ত ডায়না নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সিলভারস্টোন অকশনের গাড়ি বিশেষজ্ঞ আরওয়েল রিচার্ডস। তিনি বলেন, রাজপরিবারের সদস্যরা সরকারি গাড়িতে পেছনের আসনে বসে সফর করেন। কিন্তু ডায়না নিজে গাড়ি চালাতে পছন্দ করতেন। আর ডায়না রাজপরিবারের রোলস রয়েসসহ অন্য গাড়ির বদলে নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে ভালোবাসতেন।

ফোর্ড এসকর্ট খুব একটা বিলাসবহুল গাড়ি নয়। এটা ব্রিটেনে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ির অন্যতম। তবে আরএস টার্বো কেনার সামর্থ্য কম আয়ের মানুষদের নেই।

ফোর্ড আবার ডায়নার জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। তারা একটা অতিরিক্ত রিয়ার ভিউ মিরর দিয়েছিল, যাতে পেছনের গাড়ির ওপর নজর রাখা যায়। গ্লাভস বক্সে একটা রেডিও রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সাধারণত এই গাড়ির রঙ হয় সাদা। কিন্তু ডায়নার অনুরোধে এই গাড়ির রং কালো করা হয়েছিল। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডায়না এই গাড়ি প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার চালিয়েছিলেন। তারপর তিনি গাড়িটি ফোর্ডকে ফেরত দেন। বয়সের তুলনায় গাড়িটা খুব কম চলেছে। সাকুল্যে ২৫ হাজার কিলোমিটারের মতো।

ডায়নার মৃত্যুবার্ষিকী : গত ৩১ আগস্ট প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। প্যারিসের টানেলে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ডায়না। তাই ডায়নার জীবন ঘিরে আবার মানুষের ঔৎসুক্য বেড়েছে। নেটফ্লিক্সের ‘দ্য ক্রাউন’ সিরিজও সেই ঔৎসুক্য বাড়িয়েছে। নিলাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই গাড়ির বিক্রি ঘিরে সারা বিশ্বে সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ আলোচনা করেছেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাত কোটিতে বিক্রি প্রিন্সেস ডায়নার গাড়ি

আপডেট সময় ০৯:১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রিন্সেস ডায়নার ফোর্ড এসকর্ট গাড়ি নিলামে বিপুল দামে বিক্রি হলো। ডায়নার জন্য বিশেষভাবে গাড়িটি বানিয়েছিল ফোর্ড। প্রিন্সেস ডায়না এই গাড়ি নিজে চালাতেন। কালো রঙের ফোর্ড এসকর্ট আরএস টার্বো সিরিজ-১ গাড়িটি নিলামে সাড়ে ছয় লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশের মুদ্রায় সাত কোটি টাকারও বেশি) দামে বিক্রি হয়।

ডায়না এই গাড়ি প্রায়ই নিজে চালাতেন। কখনো কখনো তার সঙ্গে পেছনের সিটে বিশেষ আসনে প্রিন্স উইলিয়ামসও থাকতেন। ডায়নাকে এই গাড়ি নিয়ে প্রায়ই চেলসি ও কেনসিংটনে দেখা যেত। আর ডায়না গাড়ি চালালে তার দেহরক্ষীও পেছনের আসনে বসতেন।

রাজকীয় গাড়ি নয় : ব্রিটিশ রাজপরিবারে প্রিন্সেস গাড়ি চালাচ্ছেন, এমন ঘটনা বিরল। কিন্তু এই সাহসী সিদ্ধান্ত ডায়না নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সিলভারস্টোন অকশনের গাড়ি বিশেষজ্ঞ আরওয়েল রিচার্ডস। তিনি বলেন, রাজপরিবারের সদস্যরা সরকারি গাড়িতে পেছনের আসনে বসে সফর করেন। কিন্তু ডায়না নিজে গাড়ি চালাতে পছন্দ করতেন। আর ডায়না রাজপরিবারের রোলস রয়েসসহ অন্য গাড়ির বদলে নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে ভালোবাসতেন।

ফোর্ড এসকর্ট খুব একটা বিলাসবহুল গাড়ি নয়। এটা ব্রিটেনে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ির অন্যতম। তবে আরএস টার্বো কেনার সামর্থ্য কম আয়ের মানুষদের নেই।

ফোর্ড আবার ডায়নার জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। তারা একটা অতিরিক্ত রিয়ার ভিউ মিরর দিয়েছিল, যাতে পেছনের গাড়ির ওপর নজর রাখা যায়। গ্লাভস বক্সে একটা রেডিও রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সাধারণত এই গাড়ির রঙ হয় সাদা। কিন্তু ডায়নার অনুরোধে এই গাড়ির রং কালো করা হয়েছিল। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডায়না এই গাড়ি প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার চালিয়েছিলেন। তারপর তিনি গাড়িটি ফোর্ডকে ফেরত দেন। বয়সের তুলনায় গাড়িটা খুব কম চলেছে। সাকুল্যে ২৫ হাজার কিলোমিটারের মতো।

ডায়নার মৃত্যুবার্ষিকী : গত ৩১ আগস্ট প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। প্যারিসের টানেলে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ডায়না। তাই ডায়নার জীবন ঘিরে আবার মানুষের ঔৎসুক্য বেড়েছে। নেটফ্লিক্সের ‘দ্য ক্রাউন’ সিরিজও সেই ঔৎসুক্য বাড়িয়েছে। নিলাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই গাড়ির বিক্রি ঘিরে সারা বিশ্বে সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ আলোচনা করেছেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে।