ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে না বসে চিকিৎসকরা বসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গলে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োগ পেয়েও চিকিৎসকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসছেন। কেন্দ্রগুলোতে কাগজ কলমে চিকিৎসক পদায়ন থাকলেও তারা সেখানে বসেন না তারা। চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেই। ফলে এ সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলছে মিডওয়াইফ,ফার্মাসিস্ট, এমএলএসএস দিয়ে।

সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত এসব উপ-স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। এখানকার জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিছুটা উন্নত চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্যে উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন করে মেডিকেল অফিসার ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। রুগ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা ও আর্থিক কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বড় ভরসা হলেও কাঙিক্ষত সেবা হতে বঞ্চিত গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরেজমিনে কয়েকটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরিবার ক্যলাণ কেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। কোনো কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট ও এমএলএসএস পদও ফাঁকা পড়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। উপজেলার আশিদ্রোণ গ্রামের কামাল হোসেন জানান, এখানে ডাক্তার মৌমিতা বৈদ্য নামে কোন ডাক্তার আছেন বলে শুনি নাই। ডাক্তারি কোনো সমস্যা হলে আমাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। একই গ্রামের মনির উদ্দিন বলেন, কোনো দিন শুনিই নাই এখানে ডাক্তার আসেন। আজ আপনাদের থেকে জানতে পারলাম এখানে ডাক্তার আছেন। উপজেলার কালিঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে তালা দেওয়া ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৭টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনা বিহীন রয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার নিয়োগ হলেও সেখানে তারা যাচ্ছেন না। ডাঃ পার্থ সারথি সিংহ দশরথ উপকেন্দ্রে ভূনবীর মেডিকেল অফিসার পদে ২০ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলেও সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ শিউলী রানী দেব, সহকারী সার্জন পদে কালিঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ৮ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলে সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ মৌমিতা বৈদ্য, সহকারী সার্জন পদে আশীদ্রোন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ১২ মে ২০২০ইং তারিখে নিয়োগ হলে সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ আকাশ রায়, সহকারী সার্জন পদে সাতগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখে নিয়োগ হলে সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ তানজিনা আক্তার, সহকারী সার্জন পদে মির্জাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ আগষ্ট ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলে এখন ছুটিতে রয়েছে। ডাঃ সায়মা আক্তার সহকারী সার্জন পদে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখে নিয়োগ হলে ঐ কেন্দ্রে স্থাপনা না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ স¤্রাট কিশোর পোদ্দার সহকারী সার্জন পদে রাজঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ আগষ্ট ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলে ঐ কেন্দ্রে স্থাপনা না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ অজন্তা দেবী সহকারী সার্জন পদে সিন্দুরখান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং তারিখে নিয়োগ হলে ঐ কেন্দ্রে স্থাপনা না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ফলে উপজেলার ইউনিয়র স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সেবা পাচ্ছের না সেবা গ্রহিতারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা: মো: সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান,করোনার সংকটের কারণেই এমনটা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানেন না উনাদের ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োগের বিষয়, তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেন চিকিৎসকরা।

তিনি আরও বলেন, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার লিখিত আদেশ বলে ডা: মৌমিতা বৈদ্য ও ডা: পার্থ সারথি সিংহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তবে ডাঃ আকাশ রায়, প্রতি সোমবার সাতগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে যান। খুব শীঘ্রই অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার যাবে।

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শিদ মুঠোফোনে জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে না বসে চিকিৎসকরা বসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গলে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োগ পেয়েও চিকিৎসকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসছেন। কেন্দ্রগুলোতে কাগজ কলমে চিকিৎসক পদায়ন থাকলেও তারা সেখানে বসেন না তারা। চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেই। ফলে এ সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলছে মিডওয়াইফ,ফার্মাসিস্ট, এমএলএসএস দিয়ে।

সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত এসব উপ-স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। এখানকার জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিছুটা উন্নত চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্যে উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন করে মেডিকেল অফিসার ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। রুগ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা ও আর্থিক কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বড় ভরসা হলেও কাঙিক্ষত সেবা হতে বঞ্চিত গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরেজমিনে কয়েকটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরিবার ক্যলাণ কেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। কোনো কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট ও এমএলএসএস পদও ফাঁকা পড়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। উপজেলার আশিদ্রোণ গ্রামের কামাল হোসেন জানান, এখানে ডাক্তার মৌমিতা বৈদ্য নামে কোন ডাক্তার আছেন বলে শুনি নাই। ডাক্তারি কোনো সমস্যা হলে আমাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। একই গ্রামের মনির উদ্দিন বলেন, কোনো দিন শুনিই নাই এখানে ডাক্তার আসেন। আজ আপনাদের থেকে জানতে পারলাম এখানে ডাক্তার আছেন। উপজেলার কালিঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে তালা দেওয়া ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৭টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনা বিহীন রয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার নিয়োগ হলেও সেখানে তারা যাচ্ছেন না। ডাঃ পার্থ সারথি সিংহ দশরথ উপকেন্দ্রে ভূনবীর মেডিকেল অফিসার পদে ২০ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলেও সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ শিউলী রানী দেব, সহকারী সার্জন পদে কালিঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ৮ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলে সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ মৌমিতা বৈদ্য, সহকারী সার্জন পদে আশীদ্রোন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ১২ মে ২০২০ইং তারিখে নিয়োগ হলে সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ আকাশ রায়, সহকারী সার্জন পদে সাতগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখে নিয়োগ হলে সেখানে না গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ তানজিনা আক্তার, সহকারী সার্জন পদে মির্জাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ আগষ্ট ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলে এখন ছুটিতে রয়েছে। ডাঃ সায়মা আক্তার সহকারী সার্জন পদে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখে নিয়োগ হলে ঐ কেন্দ্রে স্থাপনা না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ স¤্রাট কিশোর পোদ্দার সহকারী সার্জন পদে রাজঘাট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ আগষ্ট ২০২২ইং তারিখে নিয়োগ হলে ঐ কেন্দ্রে স্থাপনা না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ডাঃ অজন্তা দেবী সহকারী সার্জন পদে সিন্দুরখান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং তারিখে নিয়োগ হলে ঐ কেন্দ্রে স্থাপনা না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে। ফলে উপজেলার ইউনিয়র স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সেবা পাচ্ছের না সেবা গ্রহিতারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা: মো: সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান,করোনার সংকটের কারণেই এমনটা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানেন না উনাদের ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োগের বিষয়, তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেন চিকিৎসকরা।

তিনি আরও বলেন, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার লিখিত আদেশ বলে ডা: মৌমিতা বৈদ্য ও ডা: পার্থ সারথি সিংহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তবে ডাঃ আকাশ রায়, প্রতি সোমবার সাতগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে যান। খুব শীঘ্রই অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার যাবে।

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শিদ মুঠোফোনে জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।